দেবস্মিতা | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪ : ১০Debosmita Mondal

আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়ছে গরম, অনেক জায়গায় তৈরি হয়েছে গর্ত। পৃথিবীর নানা অঞ্চলে এই ধরণের বড়-ছোট গহ্বরের প্রায়ই হদিশ মেলে। বৈ়জ্ঞানিক ভাষায় এর নাম ‘পারমাফ্রস্ট’।

এবার বিজ্ঞানীদের হাতে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সাইবেরিয়ার মেরু অঞ্চলের এক গহ্বর হয়েছে আরও পুরু, বেড়েছে প্রায় তিন ডবল। মাত্র ৩০ বছরে হয়েছে এই বিপুল বৃদ্ধি, এমনটাই বলছে গবেষণা। পোশাকি ভাষায় এর নাম ‘বাতাগাইকা ক্রেটার’। অনেকে এটিকে ‘নরকের দরজা’ বলেও অভিহিত করে থাকেন।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর জন্য দায়ী জলবায়ু পরিবর্তন। কয়েক বছরের মধ্যেই ২০০ একর প্রশস্ত এবং ৩০০ ফুট গভীর হয়েছে ওই গহ্বর। এই গহ্বর সাধারণের কাছে পরিচিত ‘বাতাগে’ নামে। বি়জ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পৃথিবীর মধ্যে এটা দ্বিতীয় বৃহত্তম গহ্বর।

এই গর্তের উপাদান কী?  এই ধরণের পুরু গহ্বর সাধারণত মেরু অঞ্চলেই পাওয়া যায়। এর মূল উপাদান মিথেন গ্যাস এবং শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই গহ্বর এতটাই বড়ো হয়েছে বর্তমানে মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান।

বাতাগাইকার পরিবর্তন থেকে এটা বোঝা যায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা কীভাবে বিবর্তিত হতে পারে। আবিষ্কারের তথ্য সামনে আসার পর, এই অভিমত জানিয়েছেন বিশিষ্ট ভূ-পদার্থবিদ রজার মাইকেলিডেস। বিজ্ঞানীদের অনুমান, মিথেনের বিস্ফোরণের ফলে এই গর্তের উৎপত্তি। এই অঞ্চলটি রাশিয়ায় অন্তর্গত।

গবেষণা বলছে, ১৯৬০ এর দশকে প্রথম অঞ্চলটি নজরে আসে। সেই সময় থেকেই এই অঞ্চলে  সূর্যের আলো প্রবেশ করতে থাকে। প্রচন্ড উত্তাপে মাটি গলতে শুরু করে। ক্রমশ ফাঁক হতে শুরু করে। এইভাবে চলতে থাকলে আশপাশের অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য তা বিপজ্জনক হতে চলেছে। ইয়াকুটস্কের মেলনিকোভ পারমাফ্রস্ট প্রতিষ্ঠানের গবেষক, নিকিতা তানানিয়েভ বলেছেন, ক্রমশ বাড়তে থাকলে বাস্তুতন্ত্রের পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।

গত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন জায়গায় বাড়ছে গরম। সে নিয়ে বারবার সাবধানবাণীও দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারই ফল সাইবেরিয়ার পারমাফ্রস্টের বিপুল আয়তন বৃদ্ধি।